২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)-কে সম্মাননা প্রদান করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এপিএ-এর সকল সূচকে শতকরা ৯৮.৩ নম্বর পেয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ছয়টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে ডাইফ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী পুরস্কার হিসেবে ডাইফ মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদকে প্রশংসাসূচক আধা-সরকারি পত্র (ডিও লেটার) ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে যথাক্রমে ১৩,২৩৭টি, ৮৬৬৬টি, ১০০২৪টি এবং ১০০০৬টি (মে, ২০২২ পর্যন্ত) কারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে শ্রম আইনের আওতায় লাইসেন্স প্রদান করেছে। অধিদপ্তরের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনয়নের লক্ষ্যে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের অনলাইন লাইসেন্সিং সিস্টেম এবং হেল্পলাইনের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ কার্যক্রম চালু করেছে।
এছাড়াও, দাপ্তরিক কার্যক্রমে শতভাগ ইফাইলিং ব্যবহার এবং পরিদর্শন কার্যক্রম, প্রতিবেদন প্রেরণ ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রবর্তনের লক্ষ্যে লেবার ইন্সপেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন (LIMA) চালু করা হয়েছে। এছাড়াও ডাইফ ওয়ান ক্লিক রিপোর্টিং সিস্টেম, ডাইফ ইনভেন্টরি রিকুইজিশন সিস্টেম, ডাইফ একসেবা মোবাইল এপ্লিকেশন চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ সেবায় গতি সঞ্চার হয়েছে। ২০২১-২২ (মে, ২০২২ পর্যন্ত) অর্থবছরে ৩৮৪৯ শিশুকে শিশুশ্রম হতে নিরসন করা হয়েছে।
এপিএ সম্মাননা প্রাপ্তির জন্য ডাইফ মহাপরিদর্শক কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মচারীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।