‘সুস্থ শ্রমিক, নিরাপদ জীবন, নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ (২৮ এপ্রিল) সারা দেশে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৮ পালিত হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাতীয়ভাবে দিবসটি পালিত হলো।
এ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, র্যালি, সভা-সমাবেশসহ ব্যাপক কর্মসূচি পালন করেছে।
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
শনিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু জানান, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিমালা-২০১৩ এর নির্দেশনা অনুযায়ী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ দিবসটি পালন করা হয়।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরবর্তী সময়ে দেশের তৈরি পোশাক রফতানি সঙ্কটে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে ২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করে কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো যুগোপযোগী করা হয়। সরকার ওই বছরই কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার গুরুত্ব, স্টেকহোল্ডারদের ভূমিকা ও দায়িত্ব স্পষ্ট করে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি নীতিমালা প্রণয়ন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইনের আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের স্বজনদের দুই লাখ, দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা এবং শ্রমিকের সন্তানের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষা সহায়তা প্রদান করছে।