Wellcome to National Portal
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ এপ্রিল ২০১৭

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত


প্রকাশন তারিখ : 2017-04-28

“শোভন কর্মপরিবেশ, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ”- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।  রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ২৮ এপ্রিল শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষে মূল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সবকটি বিভাগীয় শহরে যথাযোগ্য মর্যাদায় অনুষ্ঠানটি পালিত হয়।।  

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতী মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। জাতির জনকের গ্রহণ করা পদক্ষেপেই আমরা এখনো এগিয়ে চলেছি। বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়ন সারা বিশ্বে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এমপি বলেন, বাংলাদেশে ৮৩ লক্ষ ইকোনমিক ইউনিট রয়েছে। সবক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিত করতে গণ সচেতনতা প্রয়োজন। এ দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে আমরা শ্রমিক ও মালিক সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই।

সভাপতির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার বলেন, সারা বিশ্বের দশটি শীর্ষ গ্রীন ফ্যাক্টরির মধ্যে সাতটিই বাংলাদেশে অবস্থিত। এটি আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। বাংলাদেশের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান সমূহে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিত করতে পরিদর্শন কার্যক্রমের পাশাপাশি আমরা সামাজিক সংলাপ কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ সামছুজ্জামান ভূইয়া বলেন, বর্তমান সরকার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করতে বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যমাত্রায় টেকসই শিল্পায়ন, স্বাস্থ্য, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর আবাস এবং টেকসই উৎপাদনকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বিজিএমইএ’র সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে কলকারখানা মালিকদের উদ্দেশে বলেন, “যেসব ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে সেসব ফ্যাক্টরিকে আমরা ব্যবসা করতে দেব না।”

আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আলহাজ্জ শুক্কুর মাহমুদ, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ  কানাডা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার এবং উন্নয়ন অংশীদারবৃন্দ।