গৃহকর্মীদের অধিকার বাস্তবায়নে গৃহকর্মীদেরকেই সংগঠিত হতে হবে, সচেতন হতে হবে। কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি, সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা, মাতৃত্বকল্যাণ সুবিধা প্রাপ্তি, পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। অন্যথায় গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি বাস্তবায়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় একথা বলেন বক্তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর ভাষাণটেক এলাকায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের যৌথ আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক এর সমন্বয়কারী জনাব আবুল হোসাইন বলেন, "আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের কাজ করা। গৃহের মালিকের দায়িত্ব হচ্ছে, যে চুক্তিতে মালিক আমাকে নিয়োগ করেছে তা মালিক কর্তৃক পালন করা। গৃহকর্মীর গায়ে হাত তোলা, গায়ে হাত দেওয়ার অধিকার কারও নেই। এ ব্যাপারে সকল গৃহকর্মীকেই সচেতন থাকতে হবে। "
গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার বলেন, "আমি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি সকল পর্যায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গৃহকর্মীদের কল্যাণে কাজ করা সম্ভব হবে।"
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, "গৃহকর্মীদের জন্য কাজ করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। তারা যেন শ্রমিক হিসেবে মর্যাদা পায় সেজন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তাদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।"
গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি, ২০১৫ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (স্বাস্থ্য) জনাব মো: মেহেদী হাসান, আরও উপস্থিত ছিলেন বিলসের প্রতিনিধি চৌধুরি বোরহান উদ্দিন, ভাষাণটেক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন দুলালসহ ভাষাণটেক অঞ্চলের গৃহকর্মীগণ।