কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বার্ষিক বনভোজন ২০১৭। ফ্রেব্রুয়ারির ৩ তারিখের এ মিলনমেলায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফি)’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ডাইফির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করে বনভোজনকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলেন।
বয়স্কদের হাঁটা প্রতিযোগিতা ছিল এ বনভোজনের অন্যতম অনুষঙ্গ। এ প্রতিযোগিতায় মহাপরিদর্শক মহোদয় সবাইকে অবাক করে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যান। এছাড়া যুবাদের জন্য ছিল ১০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা। চকলেট দৌড় বাচ্চাদের মধ্যে আগ্রহ এবং উন্মাদনার সৃষ্টি করে। আর মেয়েদের জনপ্রিয় খেলা মিউজিকাল চেয়ার জমেছিল ভালই। এছাড়া বয়স্ক নারীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল পিলো পাসিং খেলা। দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হওয়া খেলায় চ্যাম্পিয়ন হন ডাইফির যুগ্ম মহাপরিদর্শক (স্বাস্থ্য) মঞ্জুর কাদের স্যারের সহধর্মিনী।
বনভোজনের অন্যতম অংশ ছিল পিঠা উৎসব। শীতের ভাপা আর চিতই পিঠায় রসনা তৃপ্ত করেননি বনভোজনে এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। এরপর শীতের দুপুরে সবুজের বুকে সুস্বাদু খাবারের পরই শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। বনভোজনের সব আনন্দ বুঝি লুকিয়ে ছিল এখানেই। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কোরাস সংগীত “আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি....” গেয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। একে একে গান, কবিতা আবৃত্তি এবং বাঁশির সুরের মুর্ছনায় নেচে উঠে ডাইফি পরিবার।
অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ র্যাফেল ড্র। মহাপরির্শক স্যার একে একে র্যাফেল ড্র’র বিজয়ী নম্বরগুলো বলছিলেন আর হাতের তালুতে সারি সারি করে রাখা কুপনগুলোতে সেই কাঙ্ক্ষিত নম্বর খুঁজে পেতে বার বার শিহরিত হয়ে উঠছিল সবাই। এভাবে একে একে বিজয়ীদের ৬০ টি পুরস্কার দেন স্বয়ং মহাপরিদর্শক স্যার।
এভাবে দিনভর আনন্দ অবগাহন শেষে স্মৃতির পাতায় হাজারো সুখস্মৃতি নিয়ে সাঙ্গ হয় ডাইফি’র বনভোজন।